Home Uncategorized ‌‘দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় মন্দির পাহারা দেবে মাদ্রাসা ছাত্ররা‌’

‌‘দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় মন্দির পাহারা দেবে মাদ্রাসা ছাত্ররা‌’

by farjul
৩২ views
A+A-
Reset

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় স্থানীয় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মাদ্রাসা ছাত্রদের সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেয়া হবে। যেন কোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর সকালে রাজশাহীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিদর্শন ও সুধী সমাবেশে যোগদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খালিদ হোসেন বলেন, মসজিদ মন্দির মাজারে হামলা গর্হিত কাজ। ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু, তারা অপরাধী। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে। মাদ্রাসা ছাত্ররা কোনো জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিল না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাগানে নানাধরণের ফুল থাকলে বাগানের সৌন্দর্য ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। এটা হলো বৈচিত্র্য। বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় দেশ। এদেশে নানাধর্মের লোক থাকবে। গীর্জায় ঘণ্টাধ্বনি হবে, মন্দিরে উলুধ্বনি হবে, মসজিদ হতে আযানের ধ্বনি উচ্চারিত হবে- এরূপ সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে চাই। যতদিন দায়িত্বে আছি ততদিন আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকল ধর্মাবলম্বীর পাশে থাকব।

তিনি বলেন, পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ ও সহানুভূতির মাধ্যমে আমরা কাছাকাছি আসতে পারি। আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি যেমন আছে, তেমন বিভাজনও আছে। আমাদেরকে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য চলে আসছে। মাঝেমধ্যে কিছু দুষ্টচক্র আমাদের এই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যে ফাটল ধরাবার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দুষ্কৃতিকারিদের কালো হাত ভেঙে দিতে পারি।

ড. খালিদ বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক ও নারী নির্যাতন-এগুলো অপরাধ। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সকল ধর্মেই এগুলো নিষিদ্ধ। এসকল ব্যাধি প্রতিরোধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি। তিনি দেশের উন্নয়নে এসকল সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

এম.কে
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

You may also like

Leave a Comment

চলতি

বাংলাদেশ মতো আকারে ছোট একটি দেশে বিশাল এক জনগোষ্ঠীর বসবাস।তাদের জীবন জীবিকা, ভাবনা, পেশা, স্বপ্ন, ইচ্ছা, আনন্দ-বেদনায় এতোটা বৈচিত্র্য হয়তো পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। এই বৈচিত্র্যের সন্ধানে পথ চলে ‘চলতি’।