Home Uncategorized লেবার পার্টির রিলিজ স্কিমের অধীনে রেকর্ড পরিমাণ বন্দি মুক্তি

লেবার পার্টির রিলিজ স্কিমের অধীনে রেকর্ড পরিমাণ বন্দি মুক্তি

by farjul
১৫ views
A+A-
Reset

যুক্তরাজ্য সরকারের তথ্যানুযায়ী দেখা যায় লেবার সরকার কারাগার হতে বন্দিদের প্রথম রিলিজ স্কিম শুরু করেছে। এই রিলিজ স্কিমের কারণে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কারাগারে থাকা লোকের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত বিচার মন্ত্রীর সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান হতে দেখা যায় কারাগারের জনসংখ্যা গত সাত দিনের মধ্যে ২,১৮৮ জন কমেছে। যা প্রায় আড়াই শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে তথ্যমতে জানা যায়।

বিশ্লেষণ অনুসারে, ২০১২ সাল হতে রেকর্ড ঘাটলে দেখা যায় বন্দিদের হার কমার সংখ্যা চলিত সপ্তাহেই সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের করোনাভাইরাসের সময় ১,১৩৫ জন বন্দি মুক্তি দেয়া হয়েছিল যুক্তরাজ্যে। কারাগারে করোনা ভাইরাস যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পরে তাই বন্দিদের মুক্তি দেয়া হয় ২০২০ সালে।

বর্তমান রিলিজ স্কিম অনুযায়ী চার বছর বা তার বেশি সময়ের সাজা এবং যৌন অপরাধে দোষী থাকলে সেই সকল বন্দিরা প্রাথমিক রিলিজ স্কিমের জন্য যোগ্য হবেন না। যারা গুরুতর অপরাধের জন্য একটি সাজা সম্পন্ন করেছেন এবং এখন কম গুরুতর অপরাধের সাজা টেনে যাচ্ছেন তাদেরকে রিলিজ স্কিমের আওতায় নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ১,৭০০ জন বন্দিকে যুক্তরাজ্যের কারাগার হতে রিলিজ স্কিমের অধীনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে পুরুষদের তুলনায় এই সপ্তাহে মহিলাদের মুক্তি দেওয়ার হার বেশি ছিল। যার ফলে মহিলা বন্দির সংখ্যা ৫.৯% হ্রাস পেয়েছে এবং পুরুষ বন্দির সংখ্যা ২.৩% হ্রাস পেয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার কারাগারের নানা সমস্যা ও রিলিজ স্কিম নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারকে দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ” আমাদের কারাগার হতে বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে অন্যথায় কারাগারে জায়গার সংকটে ভুগবে।”

উল্লেখ্য যে, লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে কনজারভেটিভ সরকার দাঙ্গার কারণে অতিরিক্ত লোক গ্রেফতার করেছিল। যার ফলে কারাগার সমূহ আগে হতেই চাপের মধ্যে পড়ে যায়। এই স্থান সংকট মেটাতে বন্দি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে রিলিজ স্কিম শুরু করে লেবার সরকার।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

You may also like

Leave a Comment

চলতি

বাংলাদেশ মতো আকারে ছোট একটি দেশে বিশাল এক জনগোষ্ঠীর বসবাস।তাদের জীবন জীবিকা, ভাবনা, পেশা, স্বপ্ন, ইচ্ছা, আনন্দ-বেদনায় এতোটা বৈচিত্র্য হয়তো পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। এই বৈচিত্র্যের সন্ধানে পথ চলে ‘চলতি’।