Home Uncategorized গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৬ ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো রাশিয়া

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৬ ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো রাশিয়া

by farjul
১৪ views
A+A-
Reset

রাশিয়ার অভ্যন্তরে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে ৬ ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে মস্কো। শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি বিষয়টি জানিয়েছে।

সোভিয়েত আমলের ডাকসাইটের রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির উত্তরাধিকারী এফএসবি জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন নথি আছে, যেখানে লন্ডনের ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বিভাগ পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি দলকে ‘রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও উসকে দেওয়ার’ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যাতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয় নিশ্চিত হয়।

এফএসবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রকাশিত তথ্যগুলো রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ব্রিটিশ অধিদপ্তর থেকে মস্কোয় পাঠানো কূটনীতিকদের কার্যকলাপ বিবেচনা করার ভিত্তি দেয়। এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের দেওয়া নথির ভিত্তিতে এবং লন্ডনের গৃহীত অসংখ্য অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ব্রিটিশ দূতাবাসের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে এবং দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের ছয় সদস্যের কূটনীতিক স্বীকৃতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতার লক্ষণ পাওয়া গেছে।’

রাশিয়ার সম্প্রচারমাধ্যমগুলোতে এই ছয় ব্রিটিশ কূটনীতিকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি তাদের ছবিও দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এফএসবির এক কর্মকর্তা রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম রসিয়া-২৪ টিভিকে বলেছেন, ‘ইংরেজরা এই কার্যক্রম (রাশিয়ার অভ্যন্তরে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা) বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমাদের ইঙ্গিত আমলে নেয়নি। তাই আমরা শুরুতে এই ছয়জনকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা আরও জানিয়েছে, যদি তারা মনে করে যে, আরও কোনো ব্রিটিশ কূটনীতিক এ ধরনে কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত তবে তারা সেসব ব্রিটিশকে অবিলম্বে রাশিয়া ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে বলবে।

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

You may also like

Leave a Comment

চলতি

বাংলাদেশ মতো আকারে ছোট একটি দেশে বিশাল এক জনগোষ্ঠীর বসবাস।তাদের জীবন জীবিকা, ভাবনা, পেশা, স্বপ্ন, ইচ্ছা, আনন্দ-বেদনায় এতোটা বৈচিত্র্য হয়তো পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। এই বৈচিত্র্যের সন্ধানে পথ চলে ‘চলতি’।